তুলসীভেষ — পণ্য বিবরণ:
তুলসীভেষ হলো এমন একটি শক্তিশালী ভেষজ ফর্মুলা, যা মূলত হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, ঠাণ্ডা ও শ্বাসনালীর প্রদাহ উপশমে কার্যকর। তুলসী, মৌরি, কালোজিরা, আদা ও অন্যান্য ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি এই ফর্মুলা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে, জমে থাকা কফ দূর করতে এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট, ধুলাবালুতে অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা-কাশি বা হাঁপানির কারণে যারা ভোগেন — তাদের জন্য তুলসীভেষ অত্যন্ত উপকারী।
কেন ব্যবহার করবেন?
যাদের সামান্য ঠাণ্ডা-ধুলাতেই কাশি শুরু হয়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে চাপ লাগে কিংবা হাঁপানির আক্রমণ বারবার দেখা যায়, তাদের জন্য তুলসীভেষ স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বস্তিদায়ক করতে সাহায্য করে। এর ভেষজ উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়, কফ নরম করে বের হতে সাহায্য করে এবং ফুসফুসকে আরও শক্তিশালী করে। তাই দৈনন্দিন শ্বাস-প্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখতে এটি কার্যকর একটি সহায়ক।
উপকারিতা:
- হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়ক
- কাশি ও ঠাণ্ডার সমস্যা দ্রুত উপশম করে
- শ্বাসনালী পরিষ্কার করে আরাম দেয়
- জমে থাকা কফ নরম করে বের হতে সাহায্য করে
- অ্যালার্জিজনিত শ্বাসকষ্ট কমাতে কার্যকর
- ফুসফুসকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে
- দীর্ঘদিনের কাশি ও বুকের চাপ কমায়
উপাদান:
তুলসীভেষ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি। কোনো কৃত্রিম রং, সুগন্ধি বা সংরক্ষক ব্যবহার করা হয় না। পণ্যের প্যাকেটে সম্পূর্ণ উপাদান তালিকা উল্লেখ থাকে।
ব্যবহার ও ডোজ:
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: প্রতিদিন ১–২ চামচ তুলসীভেষ কুসুম গরম পানি, চা বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করুন। সকালে ও রাতে সেবন করলে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ঠাণ্ডায় দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী অল্প মাত্রা ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা:
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাদের নির্দিষ্ট ভেষজে অ্যালার্জি আছে তারা প্রথমে অল্পমাত্রায় পরীক্ষা করবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত (FAQ):
প্রশ্ন: হাঁপানি কমাতে তুলসীভেষ কি সত্যিই কাজ করে?
উত্তর: হ্যাঁ। এর ভেষজ উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে ফুসফুস শক্তিশালী করে, ফলে হাঁপানির আক্রমণ কমে।
প্রশ্ন: কাশি বা ঠাণ্ডায় কতদিন খেতে হবে?
উত্তর: সাধারণত ২–৫ দিনের মধ্যে আরাম পাওয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার ক্ষেত্রে ১–২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার উপকারী।





Reviews
There are no reviews yet.